
বাঁধাকপি,ফুলকপি,শিম,টমেটো,মুলা,শালগম,নতুন আলু-কী নেই বাজারে?শীতের সব সবজিতেই এখন বাজার ভরপুর।
অভাব নেই সবজির।অভাব শুধু ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার। কেজিতে ৫-১০ টাকা কমলেও এখনো সব সবজিই ক্রেতার ক্রয় ক্ষমতার বাইরে।তারা ব্যাগ ভরে সবজি কিনতে পারেন না।
আয়ের সাথে ব্যয়ের সামঞ্জস্য রেখে তাদের কম কিনেই তুষ্ট থাকতে হচ্ছে।এ দিকে পেঁয়াজের দাম বাজারভেদে কম-বেশি হলেও আলু কিন্তু সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে বাজারে শীতের সবজি ভরপুর।কয়েক দিন ধরে নতুন আলু আর নয়া শালগমও বাজারে এসেছে। এখন এ দুটো বাজারে সবচেয়ে বেশি দামেই বিক্রি হচ্ছে। নতুন আলুর কেজি এক শ’ ৫০ টাকা।
তাও আবার সব সবজি বিক্রেতার কাছে পাওয়া যায় না। নির্দিষ্ট কিছু দোকানে এগুলো বিক্রি হয়। সব বাজারেও পাওয়া যায় না।অপেক্ষাকৃত ধনী এলাকাগুলোতেই এখন নতুন আলু বিক্রি হয়।
গোপীবাগ এলাকার সবজি বিক্রেতা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন,নতুন আলুর দাম বেশি হলেও চাহিদা একেবারেই কম নয়।যারা আয়েশি তারাই কেবল নতুন আলু কিনছেন।ছিদ্দিকুর রহমান বলেন,দিনে অন্তত এক মণের মতো আলু তিনি বিক্রি করছেন তিন দিন ধরে।
শালগমও নতুন এসেছে।সপ্তাহখানেক ধরে শালগম আসতে শুরু করেছে বলে ছিদ্দিকুর জানান।প্রথম দিন এক শ’ ২০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। এখন ৮০ থেকে এক শ’ টাকায় শালগম বিক্রি হচ্ছে।
শিম এখন অনেকটাই পুরনো হয়ে গেছে।৫০-৬০ টাকা দরে এখন বিক্রি হচ্ছে এই সবজিটি।তারেক নামের এক ক্রেতা গতকাল বলেন,৫০-৬০ টাকা হলেও ক’জন মানুষ এই দাম দিয়ে কিনে খেতে পারেন?
বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি,পটোল ৬০ টাকা, ঢেঁরস ৬০ টাকা,বরবটি ৭০ টাকা,ছোট আকৃতির একটি ফুলকপি ৩০ টাকা,বাঁধাকপি ৩০-৪০ টাকা,মুলা ৪০ টাকা, করলা ৭০-৮০ টাকা,পেঁপে ৪০ টাকা,মাঝারি আকৃতির একটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।
প্রায় তিন মাস ধরেই টমেটো বিক্রি হয়ে আসছে ১২০ টাকা।
শুধু সবজিই নয়,শীতের শাকও এখন বাজারে ভরা। তারপরও দাম কিন্তু কমছে না।এক আঁটি লালশাক এখনো ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।আর কে মিশন রোডে ভ্যানে করে শাক বিক্রি করেন এমন এক বিক্রেতা জালাল গতকাল বলেন,এক আঁটি শাক পাইকারি কিনে এনেছে ১২ টাকায়। এর সাথে পরিবহন খরচ আছে।
তিনি বলেন,যদি কেউ এক সাথে দুই-তিন আটি নেন তবে দু-এক টাকা কম রাখা যায়।এর বাইরে শাকের দাম কম রাখার কোনো সুযোগ নেই।
পেঁয়াজের বাজারে কোনোই নিয়ন্ত্রণ নেই।যে যেভাবে পারছেন দাম রাখছেন।বাজারভেদে ৬০ টাকা থেকে ৯০ টাকায় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে।দেখা যায়, দোকানে যে দাম তার চেয়ে ফুটপাথে কিছুটা কম দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়।আর আলু সেই ৪৫ টাকায়ই বিক্রি হচ্ছে।
সরকার ৩৫ টাকায় দাম নির্ধারণ করলেও বিক্রেতা কেউই তা মানছেন না।এ নিয়ে কারো কোনো বক্তব্য নেই।
যারা বিক্রি করছেন তারা ওই দামেই বিক্রি করে আসছেন;আর যারা কিনছেন তারা বাধ্য হয়েই ওই দামে কিনে আসছেন।
করোনা ভাইরাসের কারণে বদলে গেছে আমাদের জীবন। আনন্দ-বেদনায়, সংকটে, উৎকণ্ঠায় কাটছে সময়। আপনার সময় কাটছে কিভাবে? লিখতে পারেন সময়ের সংবাদে । আজই পাঠিয়ে দিন Smersngbd.com@gmail.com মেইলে - Smersngbd.com@gmail.com